• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

১৭১টি পূঁজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত পাল

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠিতে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। বাকি রয়েছে শুধু রং তুলির কাজ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সাড়ম্বরে উদযাপনের লক্ষ্যে পূঁজা কমিটিগুলোও প্রয়োজনিয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূঁজার আর মাত্র অল্প কয়েকদিন বাকী। শিল্পীর নিপুণ শৈলীতে বাঁশ, খড়ের কাঠামোতে মাটির আস্তরণে দেবীর অবয়ব তৈরির কাজ প্রায় শেষ। আর কিছুদিন পরেই রং-তুলির আঁচড়ে মৃন্ময়ী রূপ ফুটে উঠবে চিন্ময়ী দুর্গার। আগামী ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় বেলতলায় দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ৫দিন ব্যাপী এ উৎসব। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পালন করা হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গা ষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত।

পূঁজা মন্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। শিল্পী নিপুন হাতের ছোঁয়ায় মৃম্ময়ী প্রতিমা ধীরে ধীরে চিন্ময়ী মাতৃ রূপ ধারন করছে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশা প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা এখন প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছেন। একটি প্রতিমা তৈরি করতে ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগে বলে জানায় শিল্পীরা। এই প্রতিমা তৈরির জন্য ৩ ধরনের মাটির প্রয়োজন হয়। আয়োজকরাও ব্যস্ত সফলভাবে পূজা আয়োজনের কাজে। এবছর  ঝালকাঠি সদরে ৭৪ টি ও কাঠালিয়ায় ৫৪ টি, রাজাপুর উপজেলায় ২২টি ও নলছিটিতে ২১টি, জেলায় মোট ১৭১টি পূঁজা মন্ডপ স্থাপিত হচ্ছে। 

প্রতিমা শিল্পী পরান পাল বলেন, ২৫ বছর ধরে এই কাজ করছি। এবার ৯টা মন্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। সময়মতো এসব প্রতিমা পূজা উদযাপন কমিটির কাছে হস্তান্তর করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। তবে করোনার আগে প্রতিটি প্রতিমা তৈরি করতে ৫০থেকে ৬০ হাজার টাকা পাওয়া যেত, কিন্তু চলমান পরিস্থিতির কারণে মজুরি ২৫-৩০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। 

প্রতিমা শিল্পী (পাল) উত্তম পাল জানিয়েছেন,বাপ-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এই পেশার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি। আমার সন্তানরা অন্য পেশায় চলে গেছে। বর্তমানে তবে যেভাবে জিনিস পত্রে দাম বেড়েছে মজুরি সেভাবে বাড়েনি।

জেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ সাধারন সম্পাদক তরুন কর্মকার জানায়, বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত রাখতে মন্ডপ কমিটি  প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সব মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলায় রাতে নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক জানিয়েছেন, জেলা এপর্যন্ত ১৭১ পূঁজা মন্ডপের তালিকা করা হয়েছে এসব মন্ডপে শান্তিপূর্ন পরিবেশে পূঁজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। পূঁজা মন্ডপের সরকারি যে বরাদ্দ এসেছে তা প্রদান করা হবে। শান্তি শৃংখলা রক্ষায় পূজা মন্ডপ গুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।
 

ঝালকাঠি আজকাল