• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় আশ্রয় পাওয়া ঝালকাঠির ৯৪৬টি পরিবার

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
“আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ আয়ু দিয়ে বাঁচিয়ে রাখুন এবং তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের মত মানুষের জীবনের কষ্ট দূর হবে” এই ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের মকরমপুর আশ্রায়ন প্রকল্পের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া বাসিন্দারা। 

৩ মাস পূর্বে এই আশ্রয়ন প্রকল্পের ২৯ টি পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরিবারগুলি  তাদের মালামাল নিয়ে বসতি পাওয়া ঘরে বসবাস শুরু করেছে। কিন্তু ৩ মাস ধরেই পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে না। এই যন্ত্রনা নিয়ে পরিবারগুলি এখন গরমের মধ্যে ওষ্টাগত জীবনযাপন করছেন। এই কারণে এই আশ্রায়ন প্রকল্পে ৫০ ভাগ পরিবারই বিদ্যুৎ না থাকায় আত্তিয় স্বজনদের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহার জানান, পল্লি বিদ্যুৎকে একাধিক বার মৌখিক ও লিখিত ভাবে অবহীত করা হয়েছে। কিন্তু নানা অযুহাত দেখিয়ে তারা কালক্ষেপন করছে। তবে তিনি আশা করছেন খুব শিগ্রই বিদ্যুৎ না থাকার যন্ত্রনা থেকে পরিবারগুলিকে স্বস্তি দিতে পারবেন। 

এই আবাসন প্রকল্পে ৪ টি নলকুপ বসানো হয়েছে এবং পানিতে আর্সেনিক রয়েছে কি না তা নিরুপনের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকল্প বিভাগ কলের পানি পরিক্ষার জন্য ঢাকার ল্যাবে পঠিয়েছেন। ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা করে প্রতিটি ঘরের জন্য প্রধানমন্ত্রির অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রায়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য বারেন্দা, দুটি কক্ষ, একটি পাকের ঘর ও লেট্রিন সহ এই অর্থ দিয়ে আধাপাকা মানসম্মত ঘর নির্মান করা অসম্ভব হলেও  উপজেলা প্রশাসন তাদের টি আর ও কাবিখা প্রিকল্প দিয়ে মাটি ভরাট এবং কিছু অনানুষ্ঠানিক অর্থ সংস্থান করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। 

ঝালকাঠি জেলার ৪ টি উপজেলায় ১ম পর্যায় ৪৭৮ টি ঘর ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ২য় পর্যয় ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে আরো ৪৭২ টি গৃহনির্মান সহ মোট ৯৪৬ টি গৃহনির্মান প্রকল্প চুড়ান্ত করা হয়েছে। এই ৯৪৬ টি গৃহনির্মান খাতে প্রধানমন্ত্রির আশ্রায়ন প্রকল্প থেকে ১৮ কোটি ৪৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্ব-স্ব উপজেলা প্রশাসন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন শাখার কারিগরি সহায়তা নিয়ে এর বাস্তবায়ন করছে। 

জেলার ৪ টি উপজেলার মধ্যে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলায় ৬৩ টি, নলছিটি উপজেলায় ১৩৫ টি, রাজাপুর উপজেলায় ৩৭০ টি এবং কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৩৭৮ টি গৃহ নির্মান করা হয়েছে। খাস জমি উদ্ধারের প্রক্রিয়া সম্পন্য করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ধারবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রির কার্যালয়ে আরো গৃহনির্মানের প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। 
এসব আবাসনে থাকা পরিবারের খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।
 

ঝালকাঠি আজকাল