• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

সাধ্যের মধ্যে স্বাদের ইলিশ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৯  

 


ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। তাই সপ্তাহখানেক ধরে কমছে দামও। সপ্তাহখানেক পর আরও কমবে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোর অন্যতম সোয়ারিঘাটের আড়তদাররা বলছেন, আমদানি বেশি হলেই মূলত দাম কমে। বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক মাছ ধরা পড়ছে। তাই আমদানি বেশি। আর দামও কম। সপ্তাহখানেক পর আরও কিছুটা দাম কমে আসবে।
 বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি ওজনের চেয়ে কম ওজনের মাছের দামই মূলত বেশি হারে কমেছে। আর এক কেজির চেয়ে বেশি ওজনের মাছের দাম কমেছে অপেক্ষাকৃত কম। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ কিনতে গেলে পাইকারি বাজারেই দাম পড়ছে প্রতিটি ওজনভেদে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা।
 তবে মধ্যবিত্তদের পছন্দ মাঝারি মানের মাছই। যেটার দাম একেবারে হাতের নাগালে। বর্তমানে স্বাদের ইলিশ একেবারে সাধ্যের মধ্যে। এলাকাভেদেও আবার মাছের দাম কম-বেশি আছে। বরিশালের জয়ন্তি ও আড়িয়াল খাঁর মাছের দাম বেশি। তুলনামূলক কম দামে মেলে চাঁদপুর, ভোলার মাছ।
 বাজারে রুপালি ইলিশ বরিশালের ইলিশ এক কেজি ওজনের হলে হালিতে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পড়ছে। আবার প্রতিটি এক কেজির বেশি হলে পড়ছে ছয় হাজার টাকার মতো। তবে অন্য জায়গায় হলে এক কেজি ওজনের ইলিশ হালিতে পড়ছে দুই হাজার ৮শ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর এক কেজির বেশি ওজনের হলে সাড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। আর দেড় কেজির বেশি ওজনের মাছ হালিতে ছয় থেকে আট হাজার টাকা পড়ছে।
 আর পাঁচ থেকে সাতশ গ্রাম ওজনের ইলিশ হালিতে পড়ছে ১২-১৫শ টাকার মতো। আর ৮-৯শ গ্রাম বা তার একটু বেশি ওজনের মাছের দাম পড়ছে ১৮শ থেকে ২৬শ বা তার একটু বেশি টাকা।
 আবার ৩-৪শ গ্রাম ওজনের মাছ হালিতে পড়ছে ৯শ থেকে এক হাজার টাকা। তবে খুরচা বাজারে এর চেয়ে কিছুটা দাম বেশি।
 রাজধানীতে ইলিশের পাইকারি বাজার পাঁচটি। সোয়ারিঘাট, যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, নিউ মার্কেট ও মুগদায় ফজরের আগে বসে এই বাজার। সূর্য উঁকি দেওয়ার পরপরই মূলত শেষ হয়ে যায় সোরগোল। কেননা, পাইকারি বাজার থেকেই ঢাকার সব খুচরা বাজারে মাছ নিয়ে যান বিক্রেতারা।
 আড়তদাররা বলেন, এই পাইকারি বাজারের দাম নির্ধারণ হয় আমদানির ওপর। অর্থাৎ, যে বাজারে যেদিন মাছ বেশি, সেদিন দাম কম। আবার মাছ কম হলে দাম বেশি। কাজেই সোয়ারিঘাটে যেদিন দাম কম, সেদিন অন্য বাজারেও কম হবে, বিষয়টা এমন নয়। তবে এই দামের তারতম্য খুব একটা এদিক-সেদিক হয় না।
 বর্তমানে বাজারে যে ইলিশগুলো মিলছে এর বেশির ভাগ আসছে মনপুরা, দৌলতখান, হাতিয়া, চাঁদপুর, বরিশাল ও কক্সবাজার থেকে। এবার যে হারে ইলিশ ধরা পড়ছে, এটা অব্যাহত থাকলে মাছের দাম আরও কমবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
 আড়তদার মোহাম্মদ হাসান শরীফ  বলেন, আশাকরি এবার ভালো ব্যবসা হবে। আমদানি এখন পর্যন্ত ভালো। দাম যা পাওয়া যাচ্ছে সেটাও সন্তোষজনক। আমদানি আরও বাড়লে সপ্তাহখানের পর মাছের দাম আরও কমবে।
 আমিনুল ইসলাম নামে আরেক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, মাছের দাম তো সব সময় এক থাকে না। একই দিন একেক বাজারে একেক রকম দাম। কারণ যে বাজারে যত মাছ, তত দাম। বেশি ইলিশ হলে দাম কম। কম হলে দাম বেশি। আমদানি বেশি হালিতে এক কেজির বেশি ওজনের মাছ এক থেকে দেড় হাজার টাকা দাম কমে যায়।

ঝালকাঠি আজকাল