মৃত প্রেমিকার সঙ্গে ১০ বছর
ভালোবাসা যত তীব্রই হোক, মৃত্যুর পর প্রেমিকার সঙ্গে থাকার সুযোগ বা সাহস কোনোটাই আপনার হবে না। সেদিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কার্ল টাঞ্জলারকে বলতে পারেন ক্ষ্যাপাটে প্রেমিক। তিনি এই সাহস করেছেন। শুধু কি তাই, প্রায় এক দশক প্রিয়তমার লাশের সঙ্গে তিনি বসবাস করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই টাঞ্জলার বুদ্ধিমান ও কৌতূহলী ছিলেন। তার যখন ১২ বছর বয়স, তখন তিনি একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নটা ছিল তার মৃত এক আত্মীয়কে নিয়ে। সে বলেছিল, টাঞ্জলার চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বপ্নের মধ্যেই মৃত আত্মীয় তাকে তার সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষটার চেহারা দেখিয়েছিল। টাঞ্জলার যদিও পরবর্তী সময়ে বিয়ে করেছিলেন, তবুও স্বপ্নে দেখা ভালোবাসার মানুষের মুখের অনুসন্ধান তিনি কখনো থামাননি।
১৯৩০ সালে ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টে তিনি রেডিওলজি টেকনোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই যক্ষ্মায় আক্রান্ত ২১ বছরের এলেনা ডি হায়োসের সঙ্গে তার দেখা হয়। তখন তার বয়স ৫৬। অসুস্থ অবস্থাতেও এলেনার রূপ সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। এলেনার সাদা চামড়া, দীঘল কালো চুল, অদ্ভুত সুন্দর লাজুকতা টাঞ্জলারের নজর এড়ায়নি।
টাঞ্জলার প্রথমবার যখন এলেনাকে দেখলেন তখন মুগ্ধ হয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। এই সেই মুখ, স্বপ্নে দেখা টাঞ্জলারের সত্যিকারের ভালোবাসা! টাঞ্জলার সঙ্গে সঙ্গে এলেনার প্রেমে পড়েন। এরপর তিনি এলেনার পরিবারের কাছে নিজেকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করতে শুরু করেন। তাদের কাছে তিনি নিজেকে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্লোমাধারী ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন। এবং এলেনার চিকিৎসা চালিয়ে যান। কিছুদিন পর অনেক গহনা এবং কাপড় দিয়ে টাঞ্জলার এলেনাকে প্রেম নিবেদন করেন। টাঞ্জলারের প্রতি এলেনা কৃতজ্ঞ ছিলেন বটে, কিন্তু তার প্রেমে তিনি সায় দেননি। কেননা তখন তিনি অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। টাঞ্জলারও তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এক বছরের মাথায় পরপারে পাড়ি জমান এলেনা। টাঞ্জলারের আসল প্রেমের গল্প এখান থেকেই শুরু।
এলেনার পরিবারের কাছ থেকে টাঞ্জলার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের খরচ বহন এবং সমাধিসৌধ নির্মাণের অনুমতি নেন। এরপর তাকে প্রায় সবসময় এলেনার সমাধির আশেপাশে দেখা যেত। অনেকের চোখে বিষয়টি অতিরঞ্জিত রোমান্টিকতা মনে হলেও, তারা তো আর জানতেন না, টাঞ্জলারের কাছে সমাধিসৌধের চাবি আছে এবং গোপনে তিনি এলেনার মৃতদেহ সংরক্ষণের কাজ করছেন।
টাঞ্জলার
কিছুদিন পর তিনি এলেনার প্রায় পঁচা মৃতদেহ সেখান থেকে সরিয়ে পুরোনো একটি বিমানে তার পরীক্ষাগারে নিয়ে আসেন। এরপর এলেনার সম্পূর্ণ শরীর সেলাই করে দেহের আকৃতি ঠিক করেন। চোখ পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এলেনার চোখে তিনি কাচের চোখ বসিয়ে দেন। শরীরের ভেতরের অংশ নরম কাপড় দিয়ে ভরাট করে দেন এবং সমস্ত শরীরে মোম মাখিয়ে রাখেন যাতে শরীরে আবার পঁচন না ধরে। লাশ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি তার জন্য রান্না করতেন, গান গাইতেন এবং তাকে নিয়ে নাচতেন। প্রায় দশ বছর তিনি এলেনার মৃতদেহ পাশে রেখে এক বিছানায় ঘুমিয়েছেন! টাঞ্জলার এভাবেই তার প্রিয়তমার ভালোবাসার সঙ্গ উপভোগ করতেন।
একসময় আশেপাশের লোকজন তাকে মহিলাদের কাপড়, সুগন্ধি এবং মেয়েলি নানান জিনিস কিনতে দেখে সন্দেহ করা শুরু করে। অনেকেই তাকে বাড়িতে এক মহিলার সঙ্গে নাচানাচি করতে দেখেছে- এ ধরনের কানাঘুষা শোনা গেলে এলেনার মা-বাবার কানেও কথাটি পৌঁছায়। ১৯৪০ সালের অক্টোবরে এলেনার বোন টাঞ্জলারের সঙ্গে দেখা করতে আসে। তখন সে অবিশ্বাস্যভাবে আবিষ্কার করে- টাঞ্জলার তার মৃত বোনের লাশের সঙ্গে বসবাস করছে। দিকভ্রান্তের মতো দৌড়ে সেই ঘর থেকে বের হয়ে মহিলা সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানায়।
পুলিশ টাঞ্জলারকে গ্রেফতার করে এবং তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়। অবাক করা বিষয় হলো, সেই চিকিৎসক তাকে মানসিকভাবে সুস্থ এবং বিচার কার্যের জন্য যোগ্য বলে রিপোর্ট দেয়। অযৌক্তিক কারণে কবর ধ্বংস এবং বিনা অনুমতিতে কবর থেকে লাশ সরানোর অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু মানুষ তাকে ঘৃণা করার পরিবর্তে হতাশাগ্রস্থ রোমান্টিক প্রেমিক ভাবতে শুরু করে। অনেকে তার দুর্ভাগ্যের জন্য দুঃখপ্রকাশও করে। যদিও শেষ পর্যন্ত টাঞ্জলারকে শাস্তি পেতে হয়। তিনি আদালতে এলেনার লাশটিকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় কিনা এই মর্মে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তার আবেদন গ্রাহ্য করার মতো ছিল না। তবে মজার বিষয় হলো, সাধারণ মানুষ চাইছিল এলেনার মৃতদেহ কোনো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হোক।
সব আলোচনা-সমালোচনা শেষে এলেনার লাশ পুনরায় দাফন করা হয়। কিন্তু এলেনার লাশ ঠিক কোথায় দাফন করা হয়েছে তা কাউকেই জানানো হয়নি। লাশ চুরি ঠেকাতেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। লাশ ফিরে না পেয়ে টাঞ্জলার এলেনার মতো দেখতে একটি পুতুল তৈরি করেছিলেন। জীবনের বাকি সময় তিনি এই পুতুলের সঙ্গে কাটিয়েছেন। বিশ্ববাসীকে অবিস্মরণীয় ভালোবাসার প্রমাণ দিয়ে টাঞ্জলার ১৯৫২ সালে ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
ঝালকাঠি আজকাল- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- মুলতানি মাটি মাখলে গরমেও ত্বক থাকবে সতেজ
- গরুর মেজবানি মাংস রান্নার সহজ টিপস
- টেক্সট লিখলেই তৈরি হবে ভিডিও
- ‘মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে’
- ওমরাহ ভিসার জন্য নতুন আইন চালু করেছে সৌদি আরব
- কৃষি গুচ্ছের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ২২ এপ্রিল
- বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
- ২১ নাবিক দেশে ফিরবেন জাহাজে, বাকি দুজন বিমানে
- জ্বালানি তেলের দাম ফের বিশ্ববাজারে ৯০ ডলারের নিচে
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- আবেগে নয়, জাকাত আদায় করতে হবে মাসআলা জেনে
- ঈদ স্পেশাল বোরহানি
- নগরীর আবাসিক হোটেলে অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬
- বরিশালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
- দীপিকার ছেলে না মেয়ে হবে, জানালেন রণবীর
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে
- ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন ৫০ বিচারক
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- টায়ার ফেটে জরুরি অবতরণ, বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- তেজগাঁওয়ে লাইনচ্যুত যমুনা এক্সপ্রেস
- আইটি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে : পলক
- সমৃদ্ধি সূচকে ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গ্রিসে খুলছে জনশক্তি রফতানির নতুন দুয়ার
- বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির
- তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের তফসিল হতে পারে আজ
- সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
- ঈদ সামনে রেখে চাঙ্গা অর্থনীতি
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- ঝালকাঠিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- জার্মানির ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই পড়াশোনার সুযোগ
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন