বড় যুদ্ধ, দরকার বড় প্রস্তুতি!
পদ্মাসেতু আমাদের স্বপ্নের স্থাপনা, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চলছে বিরাট আয়োজন। দেশি বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র চলেছে আমাদের এই স্বপ্নের অগ্রযাত্রা রুখতে একথা কে না জানে! স্বাভাবিকভাবে চ্যালেঞ্জটাও তাই বেশি। সেই ষড়যন্ত্র নানারূপে নানাভাবে আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হচ্ছে।
কিন্তু এই বিশাল আয়োজনের সব প্রস্তুতি কি আমাদের আছে? বিশেষ করে অপপ্রচার এবং গুজব মোকাবেলার? যে গুজবে আজকে সয়লাব বাংলাদেশ তার শুরুটা তো হঠাৎ করে বা দুদিন ধরে হয়নি। অনেকদিন ধরেই এ নিয়ে হাস্যরস এবং নানা অপ-কৌতুক সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনি বা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি কি একে খুব সিরিয়াসলি নিয়েছিল? যদি নিতো তাহলে বোধ করি এতো এতো তাজা প্রাণ ঝরতো না।
আইন ও সালিশকেন্দ্রের সূত্রমতে, এবছর জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ছয় মাসে গণপিটুনিতে প্রাণ গেছে ৩৬ জনের। বিশ্বাস হয় এতোগুলো প্রাণ এভাবে ঝরে গেছে, অথচ আমরা কিছুই করতে পারিনি। করবো কিভাবে আমরা তো ব্যস্ত নিত্য নতুন ইস্যু নিয়ে! নিজের আপন কেউ আক্রান্ত হচ্ছে না বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদ করেই উটপাখির জীবনে ফিরে যাচ্ছি। কতোদিন বাঁচবো এভাবে, কতোদিন এভাবে আড়াল করতে পারবো নিজেদের বা নিজেদের প্রিয়জনদের? মনে হয়, খুব বেশি দিন না। একবার বাড্ডার তাসলিমার জায়গায় নিজেকে রেখে ভেবেছেন? একজন উচ্চ শিক্ষিত সংগ্রামী মা তার ছোট্ট মেয়েটার জন্য স্কুল দেখতে গিয়েছিলেন। তাকে লাঠি, রডের বাড়ি, লাথি, ঘুষি দিয়ে আমরা মেরে ফেললাম। শত শত মানুষের মধ্যে একজন মানুষও কি ছিল না যে তাকে আগলে পুলিশের কাছে বা নিরাপদ কোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারতো? তাসলিমার মাথায়-মুখে যখন আঘাতের পর আঘাত করা হয়েছে নিরপরাধ মানুষটার নিশ্চয় তখন বারবার তার ছোট্ট মেয়েটার কথা মনে হয়েছে।
ভিডিওটা যতোবার আমার চোখের সামনে এসেছে আমি এড়িয়ে গেছি, আর অভিশাপ দিয়েছি নিজেকে, মানুষ হিসেবে অসহায় তাসলিমার জন্য কিছু করতে না পারার গ্লানিতে। কিছুদিন আগে মিয়ানমারের সংঘাতে গুজবের ব্যবহার নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টে একটা মজার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল। সেটা হচ্ছে যেসব দেশে ইন্টারনেট বলতে অধিকাংশ মানুষ ফেসবুককে বোঝে সেসব দেশের উচিত ইন্টারনেটের ব্যবহার সীমিত করা। আমার মনে হয়, আমাদের অবস্থা কোনো অংশে মিয়ানমারের থেকে কম না। অনেক দেশের মানুষ এখন ইন্টারনেটকে বেসিক হিউম্যান রাইটস হিসেবে ঘোষণা করছে আর আমরা অবাধে পাওয়া ইন্টারনেটে গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছি। কেড়ে নিচ্ছি অন্যের মানবাধিকার, অন্যের বাঁচার অধিকার এবং অন্যের মানবিক মর্যাদা ও সম্মান। বাস্তবে ডিজিটাল দেশে এক মুহূর্ত ইন্টারনেট না থাকলে ঘটতে পারে বিপর্যয়। এইদিক দিয়ে এস্তোনিয়া উদাহরণ হিসেবে খুব ভালো দেশ। গুগল করে দেখে নিতে পারেন ছোট্ট একটা দেশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেখানে কী না করা যায়। তারা মনে করে, এক মুহূর্ত ইন্টারনেট না থাকা মানে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। দেশ হিসেবে আমরা ডিজিটালাইজেশনে অনেক এগিয়ে গিয়ে থাকতে পারি, কিন্তু মানুষ হিসেবে যে এর সিকিভাগও এগোতে পারিনি এ ব্যাপারে আমি নি:সংশয়।
একবার ভেবেছেন কেমন একটা রূঢ় সময়ের ভেতর দিয়ে আমরা যাচ্ছি। এই যে বাসায় বসে টাইপ করছি বারবার মনে হচ্ছে, এখন এই দিনের বেলা এডিস মশা কামড়াচ্ছে না তো? পত্রিকা, টেলিভিশন খুললেই খালি ভীতিকর খবর। ডেঙ্গু-পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। একজন সিভিল সার্জন মারা গেছেন ডেঙ্গুতে কিছুদিন আগে। এবার ডেঙ্গুর কী এক পরিবর্তিত রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে, যা স্বয়ং একজন চিকিৎসকও বুঝলেন না যে তার ডেঙ্গু হয়েছে। সারাক্ষণ কী এক দুশ্চিন্তা, বাসায় ছোট ছেলেমেয়ে থেকে বৃদ্ধ মা-বাবা সবাই ঝুঁকির মধ্যে।
মেয়র মহোদয়রা ব্যস্ত সময় পার করছেন মশা মারার জন্য। কিন্তু তাতে কি, আমরা তো বিপন্ন অসহায়বোধ থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। পত্রিকার খবর ঢাকা শহরে কোনো হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। তবুও আমাদের মেয়র মহোদয়রা হয়তো বলবেন, ডেঙ্গু এখনও মহামারী হয়নি। একজন তো বলেছেন, ‘স্রেফ গুজব! কী যে মন্দ কপাল আমাদের!
সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে হিরো হতে চান। ভাইরাল হতে চান। অনেকেই এই অপ-নেশায় আসক্ত। নেশা এতোটাই প্রবল যে, অনেকে দু’দিন আগে লাইভ করে মামলা করার বুকিং দেন। অথচ এমন মামলা করার এখতিয়ারই তার নেই। কী হাস্যকর! এই যে না জেনে আপনি বা আপনারা দেশদ্রোহিতার মামলা করে ভাইরাল হতে চাইলেন, আপনারদের তো কিছু হয়নি; কিন্তু এই নিয়ে বাজারে নতুন গুজব কিন্তু চলে এসেছে, অমুকের ইচ্ছায়, অমুক দেশের চাপে মামলা হয়নি। এমন অপপ্রচার থেমে নেই। এসব করে দেশের ক্ষতি করা হলো নাকি উপকার করা হলো?
মামলা হোক বা না হোক প্রিয়া সাহা যা করেছেন তা সত্যের অপলাপ। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এসব কাজ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে কালিমালেপনের অপচেষ্টা। তবে প্রিয়ার করা দোষের কারণে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের দুষলে হবে না। এই বাংলাদেশ সবার, সকলের সমান অধিকার এখানে নিশ্চিত হতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সবার সমান নিরাপত্তা ও সমান মর্যাদা।
কতোটা বিপন্ন অসহায় আমরা! চোখের সামনে ঘটে যাওয়া স্বামীর নৃশংস খুনের পরও সেই নারীকে আইনজীবীহীন করে মামলায় ফাঁসানোর সব ব্যবস্থা করে ফেলছি। তিনি খুনে জড়িত নাকি জড়িত নন, সে আলোচনায় আমি যাবো না। কিন্তু মামলায় আইনজীবী পাওয়া যে তার সাংবিধানিক অধিকার, মৌলিক অধিকার। তার এই অধিকার যে একটা সংঘবদ্ধ চক্র কেড়ে নিচ্ছে সেজন্য এই দেশ, এই সমাজ এই রাষ্ট্র কি করতে পেরেছে? মিন্নির চরিত্র হননই যেন আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। একবার মিন্নির জায়গায় নিজেকে নিয়ে ভাবুন, কতটা অসহায় বিপন্ন তিনি। চোখের সামনে খুন হওয়া স্বামীর হত্যার দায় তার ওপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা হয়েছে। অথচ তাকে কোনো আইনগত প্রতিনিধি দেয়া হচ্ছে না।
খুব খারাপ সময় পার করছি আমরা। অনেক বেশি বিপন্ন আমরা। অথচ বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, সাম্প্রদায়িকতাকে বুড়ো আঙুল দেখতে চায়। পরাজিত শক্তিরা কি ছেড়ে দেবে? বছরকয় আগে তারা গাড়িতে, বাসে পেট্রল বোমা মেরে মাসের পর মাস মানুষ মেরেছে। এখন আবার পদ্মাসেতুকে ঘিরে গুজব ছড়িয়ে মানুষ মারছে। শুধু সরকারের একার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না যতদিন আপনি-আমি না এগিয়ে আসবো। মোবাইল দিয়ে ছবি না তুলে একজন বিপন্ন মানুষের জীবন বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়ে হলেও এগিয়ে যাবো। দায়সারা, লোকদেখানো কাজ না করে সত্যিকারের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর সরকারেরও উচিত বড় ব্যাপারে সর্বোচ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া এবং যথাযথ গুরুত্ব দেয়া।
# লেখক: খায়ের মাহমুদ :
সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- জাতিসংঘ বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকান্ডে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
- রমজান উপলক্ষে ঝালকাঠিতে চলছে সুস্বাদু মোটা মুড়ি ভাজার উৎসব
- আল্লাহর কাছে মর্যাদা ও সওয়াবে নারী-পুরুষের সাম্য
- প্রধানমন্ত্রী যুবসমাজকে গড়ে তুলতে কর্মমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত
- রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা
- নলছিটিতে হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার-২
- রোজার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন
- যেকোনো গণিতের সমাধান করে দেবে অ্যাপ
- ঈদ সামনে রেখে চাঙ্গা অর্থনীতি
- চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুনে এক লাখ টন চিনি পুড়ে ছাই
- ঝালকাঠিতে মহিলা কলেজের ৬তলা নতুন ভবনের উদ্বোধন
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- ঝালকাঠিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- নির্ধারিত দামের চেয়েও কমে ভোজ্যতেল ছাড়ল এস আলম গ্রুপ